জানু. 1, 2020
910 Views
0 0

রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ

Written by

মাগুরা জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন যার মধ্যে অন্যতম রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ। ১৯৫০ সালের আগে জমিদারী রক্ষার্থে এ বাংলায় যে কজন জমিদার আন্দোলনে  জড়িয়ে পড়েছিলেন তাদেরমধ্যে অন্যতম রাজা সীতারাম রায়ের বংশধরেরা। মাগুরা জেলা সদর হতে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে এই রাজবাড়িটির অবস্থান। এর পাশে মধুমতি নদী অবস্থিত।

তখন কার আমলে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর নামক উপজেলাটি বিখ্যাত ছিল রাজা সীতারামের জন্য। তিনি এই অঞ্চলটিকে রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করতেন। তিনি আনুমানিক ১৭ শতকের শেষের দিকে মোহাম্মদপুরে রাজধানী স্থাপন করেন। সেই সময় তিনি এ অঞ্চলে বেশ কিছু স্থাপনা তৈরি করেন।  জমিদারবাড়ি, রাস্তাঘাট ও এলাকাবাসীর সুবিধার্থে দীঘি খনন করেন। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনাগুলো মাথা উঁচু করে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজও। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় গুলো থেকে এই স্থাপনাগুলো বিলীন হতে থাকে।

রাজা সীতারাম প্রথম দিকে মুর্শিদাবাদের নবাবের একজন কর্মচারী ছিলেন। কর্মগুণে পরবর্তীতে জমিদার ও পরে রাজা উপাধি পান। রাজা হওয়ার পর এই মোহাম্মদপুরে তিনি রাজার মতই প্রভাব বিস্তার করেন। পাক পেয়াদা,  দাস দাসী, সৈন্য  সামন্ত নিয়ে তিনি আশেপাশের এলাকা দখল করে নিজের এলাকার পরিধি বৃদ্ধি করেন। গড়ে তোলেন কাছারিবাড়ি,  পরিখা বিশিষ্ট রাজবাড়ী,পূজার জন্য মন্দির। বেশিরভাগ স্থাপনা ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রায়। বাড়ির দক্ষিণ পাশে একটি শিব মন্দির এখনো অক্ষত আছে। জমিদার বাড়িটির আশেপাশের কিছু জায়গায এলাকাবাসী দখল করে নিলেও কিছু অংশ সরকারি অফিসের কার্যক্রম চলে।বর্তমানে এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতাধীন।

অবস্থান

এটি বাংলাদেশের মাগুরা জেলা শহর  হতে  ২৭ কিলোমিটার দূরে উপজেলা মোহাম্মদপুরের রাজবাড়ী নামক স্থানে অবস্থিত।

কিভাবে যাবেন

ঢাকার কল্যাণপুর, গাবতলী ও শ্যামলী হতে মাগুরা যাওয়ার বাস পুরো দিনেই পাওয়া যায়।

বাস

রয়েল এক্সপ্রেস (গাবতলী মোবাইল-01775113320,01975113320 মাগুরা মোবাইল-01756992767)
নন এসি ৪৫০ টাকা এসি ৮০০ টাকা ভাড়া।
এছাড়াও হানিফ,শ্যামলী,সোহাগ পরিবহন যোগে ঢাকা থেকে মাগুরা যাতায়াত করা যায়।
অনলাইনে টিকিট বুকিং এর জন্য সহজ-16374
বাস বিডি-16460

ট্রেন

ঢাকা থেকে মাগুরা সরাসরি কোন ট্রেন নেই তবে ঢাকা থেকে যশোর ট্রেনে যেয়ে সেখান থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে বাস বা সিএনজি যোগে মাগুরা জেলায় যেতে পারেন।

ঢাকা কমলাপুর থেকে যশোর স্টেশন

বেনাপোল এক্সপ্রেস ছাঁড়ে  12:40 Am পৌঁছায় 07:50 Am
বন্ধ বৃহস্পতিবার

সুন্দরবন প্রভাতী ছাঁড়ে 6:20 Am পৌঁছায়  2:20 pm
বন্ধ বুধবার

চিত্রা ছাঁড়ে 7:00 pm পৌঁছায় 3:40 Am
বন্ধ সোমবার

যশোর স্টেশন থেকে ঢাকা কমলাপুর

চিত্রা ছাঁড়ে 9:51 Am পৌঁছায় 06:20 pm
বেনাপোল এক্সপ্রেস ছাঁড়ে 2:07 pm পৌঁছায় 08:55 pm
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাঁড়ে  9:30 pm পৌঁছায় 5:40 Am

সকল ট্রেনের ভাড়া ৪৭৫ টাকা

[ মাগুরা সদর হতে মহম্মদপুর উপজেলা ২৭ কিলোমিটার পথ। বাস বা সিএনজি যোগে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে আর ভাড়া পড়বে ৩০-৪০ টাকার মতো। মহম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড হতে আধা কিলোমিটার উত্তরে পাকা রাস্তার পাশে রাজনীতির অবস্থান রিক্সা-ভ্যান অথবা পায়ে হেঁটে যেতে পারেন]

কোথায় থাকবেন

মহম্মদপুর উপজেলা থাকার মত তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই তবে উপজেলা ডাকবাংলোতে থাকতে পারে সেজন্য আগে থেকে অনুমতি নিয়ে রাখতে হবে।

মাগুরা শহরে থাকার মতো বিভিন্ন মানের হোটেল ও সার্কিট হাউজ রয়েছে।
হোটেল ঈগল ( আবাসিক) মোবাইল-01820218820
হোটেল সৈকত মোবাইল-01740629719
হোটেল যমুনা মোবাইল-01998991410

[ হোটেল গুলোর ভাড়া তিনশ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে পড়বে]

Article Categories:
মাগুরা
banner

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।