রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি

 লিখেছেনঃ
  নভে. 30, 2019
  578 Views
0 0
টুকিটাকি
ভারত উপমহাদেশের প্রথম নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু সাহিত্যেই পারদর্শিতা দেখেননি তিনি একাধারে চিত্রকর, গায়ক, অভিনেতা ও সফল জমিদার। বাংলা সাহিত্যের প্রাণ পুরুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায়  থেকেছেন। পারিবারিক জমিদারির দেখার জন্য তিনি বাংলায় বিভিন্ন জায়গায় যেমন নওগাঁর পতিসরে, কুষ্টিয়ার কুঠিবাড়ি ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের জমিদারি পরিচালনা করেন। ১৮৪২ সালে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ইংরেজদের কাছ থেকে ১৩ আনাই বাড়িটি কিনেছিলেন।
এটি একটি দোতলা ভবন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর পিতার আদেশে ২৯ বছর বয়সে তিনি এখানে আসেন ১৮৯০ সালের দিকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানকার প্রকৃতি ও মানুষের বৈচিত্র্য জীবন  দেখে মুগ্ধ হন। এখানেই রচনা করেন তার অনেক বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম। ১৮৯০ থেকে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত এখানে অনেক বার যাওয়া আসা করেছেন। কবি এখানে বসেই রচনা করেন বিখ্যাত চিত্রা, সোনার তরী বৈষ্ণব কবিতা চৈতালি কাব্যগ্রন্থগুলো। গীতাঞ্জলি কাব্যের কাজও শুরু করেন এখান থেকেই। বিসর্জন নাটক তিনি এখানে বসে রচনা করেন।
 দ্বিতল বাড়িটির উপর নিচ মিলে বেশ কয়েকটি ঘর রয়েছে। ঘর গুলিতে সেসময়ের আসবাবপত্র এখনো লক্ষ করা যায়। একটি ঘরে রবীন্দ্রনাথের প্রকাশিত বইগুলো নিয়ে একটি লাইব্রেরী তৈরি করা হয়েছে। তাঁর আঁকা ছবি, গানের পান্ডুলিপি সহ আরো অনেক সংগ্রহ এখানে রয়েছে। বাড়িটির প্রবেশপথের দুই পাশে নানা প্রকার ফুলের গাছ দিয়ে বাগান তৈরি করা হয়েছে। যা পর্যটকদের সহজেই মুগ্ধ করে।১৯৬৯ সালের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক অত্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় ভবনটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতাধীন।
পরিদর্শনের সময়সূচী
প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ছয়টা পর্যন্ত  কাছারি বাড়িটি দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। দেশি পর্যটকদের জন্য প্রবেশমূল্য ১০ টাকা  আর বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা। এখানে গাড়ী পার্কিং এর সুব্যবস্থা রয়েছে।
অবস্থান

এটি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে উপজেলা শাহজাদপুর হতে পূর্ব দিকে অবস্থিত।

[ সিরাজগঞ্জ শহর থেকে শাহজাদপুর উপজেলা ৪০ কিলোমিটার। বাস বা সিএনজি যোগে শাহজাদপুর বাস স্ট্যান্ড নেমে সেখান থেকে অটো বা রিকশায় ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে কাছারি বাড়ি যেতে পারেন

কিভাবে যাবেন
বাস

 ঢাকার কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনাল হতে অথবা মহাখালী বাস টার্মিনাল হতে ঢাকা হতে বগুড়া গামী অথবা ঢাকা-রাজশাহী গামী যেকোনো বাসে চলে ভবন করতে পারবেন। এছাড়া ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ শহরে বেশ কয়েকটি বাস যোগে আসতে পারেন।

ঢাকা লাইন পরিবহন (টেকনিক্যাল কাউন্টার মোবাইল-01879116916, সিরাজগঞ্জ মোবাইল-01879116912)
অভি ক্লাসিক  (টেকনিক্যাল মোবাইল-01715155939, সিরাজগঞ্জ মোবাইল-01715114180)
নন এসি ভাড়া ২৫০ টাকা
এছাড়া হানিফ, ন্যাশনাল,শ্যামলী, দেশ ট্রাভেলস  যোগে সিরাজগঞ্জ   যেতে পারেন।

ট্রেন
ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন সিরাজগঞ্জ মনসুর আলী স্টেশন দাঁড়ায়। ঢাকা কমলাপুর ও এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে পুরো দিনেই সিরাজগঞ্জে ট্রেন পাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
সিরাজগঞ্জ শহরে থাকার মতো বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে।
হোটেল আরমানি, মুজিব সড়ক, মোবাইল-01711340519
হোটেল অনিক ,মুজিব সড়ক, মোবাইল-01712062061
হোটেল আল হামরা, স্বাধীনতা স্কয়ার, মোবাইল-01745629264
হোটেল উত্তর ভিলা, সিরাজগঞ্জ রোড চৌরাস্তা,মোবাইল-01712623180
[  শাহজাদপুর উপজেলা সদর থাকতে চাইলে ডাক বাংলোতে থাকতে পারেন সেজন্য আগে থেকে অনুমতি নিয়ে রাখতে হবে]
[ হোটেল গুলোর ভাড়া তিনশ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে পড়বে]
Article Categories:
রাজশাহী
banner

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।