মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ

 লিখেছেনঃ
  ডিসে. 16, 2019
  422 Views
0 0

টুকিটাকি

১৯৭১ সালের এক স্মৃতি বহনকারী স্থান মেহেরপুরের মুজিবনগর। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল অস্থায়ী সরকার গঠিত হওয়ার পর মুজিবনগর অস্থায়ী সরকার এখানে শপথ নেন। এম.এ. জি ওসমানীকে মুক্তিযুদ্ধের সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। অধ্যাপক ইউসুফ আলী মন্ত্রিপরিষদের শপথ পাঠ করান।

অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন তাজউদ্দিন আহমেদ,অর্থমন্ত্রী মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক ও ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হন এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। শপথ গ্রহণের পর এই স্থানের নাম রাখা হয় মুজিবনগর আর এই সরকারের নাম হয় মুজিবনগর সরকার।

মহান মুক্তিযুদ্ধকে স্বরণীয় করে রাখার জন্যই এখানে তৈরি করা হয়েছে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স। এখানে একটি মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে যেখানে যুদ্ধের সময় ১১ টি সেক্টরে ভাগ করে দেখানো হয়েছে। ৬৬ এর ছয় দফাকে স্মরণীয় করে রাখতেই ৬ টি গোলাপ বাগান তৈরি করা হয়েছে। এর স্থপতি তানভীর করিম।

অবস্থান

বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলা সদর হতে ১৮ কিলোমিটার দূরে উপজেলা মুজিবনগরের অনতিদূরে ঐতিহাসিক আম্রকাননে অবস্থিত।

কি কি দেখবেন

লাল মঞ্চ

মুজিবনগর অস্থায়ী সরকার ঠিক যে স্থানে শপথ নিয়েছিল ঠিক সেই স্থানে ২৪×১৪ ফুট সিরামিক দিয়ে একটি আয়তাকার লাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

তেইশটি স্মৃতিস্তম্ভ

মোট ২৩ টি ত্রিভুজাকৃতির দেয়াল এর সমন্বয়ে এটি গঠিত। যা মঞ্চ-এর প্রবেশপথের উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে সারি ভাবে সাজানো। এই ২৩ টি ত্রিভুজাকৃতির দেয়াল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্মৃতি বহন করে। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত এই ২৩ বছরের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীকস্বরূপ ২৩ টি দেয়াল তৈরি করা হয়েছে।

এক লক্ষ বুদ্ধিজীবী খুলি

স্মৃতিসৌধ তে অবস্থিত একটি বেদির উপরে অসংখ্য গোলাকার বৃত্ত রয়েছে যা থেকে বোঝানো হয়েছে এক লক্ষ বুদ্ধিজীবির মাথার খুলিকে।

৩০ লক্ষ শহীদ
স্মৃতিসৌধে ৩ ফুট উচ্চতার একটি বেদি তৈরি করা হয়েছে যেখানে ৩০ লক্ষ শহীদ  মা-বোনের প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে।

এগারোটি সিঁড়ি

স্মৃতিসৌধ বেদীতে অবস্থিত ১১ টি সিঁড়ি রয়েছে যা দ্বারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ টি সেক্টর কে বোঝানো হয়েছে।

এছাড়াও এখানে আরও রয়েছে বঙ্গোপসাগর

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রতীক

রক্তের সাগর

সাড়ে সাত কোটি অক্যবদ্ধ জনতা।

কিভাবে যাবেন

ঢাকার কল্যাণপুর,গাবতলী ও মহাখালী হতে মেহেরপুর জেলায় সরাসরি এসি নন এসি বাসের ব্যবস্থা হয়েছে। এসি ১০০০ টাকা ও নন-এসি ৪৫০ টাকা ভাড়া।

বাস

শ্যামলী পরিবহন( গাবতলী মোবাইল-01865068925, মেহেরপুর মোবাইল-01784287004 )
জে আর পরিবহন( কল্যাণপুর মোবাইল-01767280296, মেহেরপুর মোবাইল-01767280280,  মেহেরপুর গাংনী উপজেলা মোবাইল-01767280281, মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলা মোবাইল-01737813660)
রয়েল এক্সপ্রেস( গাবতলী মোবাইল-01775113320, মেহেরপুর মোবাইল-01775113323, মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলা মোবাইল-01775113322 )

ট্রেন

[ মেহেরপুর জেলা সদর থেকে সড়ক পথে আম্রকাননের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। বাস বা সিএনজি যোগে ৩০-৩৫ মিনিট সময় ঐতিহাসিক আম্রকাননে যাওয়া যায়। ভাড়া পড়বে ২৫-৩০ টাকার মতো]

ঢাকা থেকে মেহেরপুর জেলা সরাসরি কোন ট্রেন সার্ভিস নেই তবে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় গিয়ে সেখান থেকে বাস যোগে ৩০ কিলোমিটার দূরে মেহেরপুর জেলা সদর যেতে পারেন। সকল ট্রেনের ভাড়া ৪১০ টাকা।

ঢাকা কমলাপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন

বেনাপোল এক্সপ্রেস ছাঁড়ে 12:30 Am   পৌঁছায় 06:07 Am
বন্ধ বৃহস্পতিবার

সুন্দরবন প্রভাতী ছাড়ে 6:20 Am পৌঁছায় 1:05 Pm
বন্ধ বুধবার

চিত্রা ছাঁড়ে 7:00 Pm পৌঁছায় 01:37 Am
বন্ধ সোমবার

চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা কমলাপুর

চিত্রা ছাঁড়ে 11:22 Am পৌঁছাই 6:20 Pm

বেনাপোল এক্সপ্রেস ছাঁড়ে  3:26 Pm পৌঁছায় 08:55 pm

সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাঁড়ে  11:26 Pm পৌঁছায় 05:40 Am

কোথায় থাকবেন

[ মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স এ বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেলে আবাসনের সুব্যবস্থা আছে। এছাড়া মুজিবনগর উপজেলা ডাকবাংলোতে থাকতে পারবেন তার জন্য আগে থেকে অনুমতি নিয়ে রাখতে হবে। মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স মোবাইল-01746671401]
মেহেরপুর শহরে থাকার মতো বিভিন্ন মানের হোটেল ও সার্কিট হাউজ রয়েছে।জেলা পরিষদ ডাকবাংলো ফোন-079162464
সার্কিট হাউজ মেহেরপুর মোবাইল-01708410005
ফিন টাওয়ার আবাসিক হোটেল মোবাইল-01736647961
মিতা আবাসিক হোটেল মোবাইল-0181248541
পরিদর্শন বাংলো মুজিবনগর মোবাইল-01553539185

[ হোটেল গুলোর ভাড়া তিনশ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে পড়বে]

Article Categories:
মেহেরপুর
banner

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।