জানু. 8, 2020
1009 Views
0 0

ষাট গম্বুজ মসজিদ

Written by

টুকিটাকি

বাংলায় ইসলাম ধর্ম প্রচারে যে কয়েকজন অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হযরত খানজাহান আলী। তিনি বাগেরহাটে অবস্থিত বিখ্যাত ষাট গম্বুজ মসজিদ নির্মাণ করেন। পুরো বাগেরহাট জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন যার মধ্যে অন্যতম ষাট গম্বুজ মসজিদ।   ১৪০১ সালে বাগেরহাট খলিফাতাবাদ নামের নগর প্রতিষ্ঠা করেন।অতুলনীয় নকশায় সমৃদ্ধ করেছে বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ।

মসজিদটির সঠিক নির্মাণকাল সম্পর্কে নানা জনের নানা মত রয়েছে তবে এটি যে খানজাহান আলীর সময়ে নির্মিত তা সুস্পষ্ট। ১৫ থেকে ১৬ শতকের মাঝামাঝি সময় এটি নির্মিত বলে ধারণা করা হয়।১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে  ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের ৩২১ নাম্বারে এটিকে স্থান দিয়েছে।বর্তমানে এটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের আওতাধীন।

অবস্থান

এটি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলা শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দুরে সুন্দরঘোনা গ্রামে অবস্থিত।

অবকাঠামো

মসজিদের ভিতরে মোট ১০ মেহরাব লক্ষ করা যায়। কথিত আছে এই মেহরাবে বসে খানজাহান আলী বিচারকার্য সম্পাদন করতেন। মসজিদে পূর্বের দেয়ালে মোট ১১ টি দরজা বামে ও ডানে আছে ৭ টি করে মোট ১৪ টি দরজা। মসজিদটির চতুর্কোনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে  ৪ টি  বড় আকৃতির মিনার। মিনারগুলোর অগ্রভাগে গম্বুজ লক্ষ করা যায়।

মসজিদটিকে দাঁড় করানো আছে ৬০ টি পিলার দিয়ে। বইয়ের পাতায় বা মুখে মুখে প্রচলিত সংখ্যা ৬০ টি হলেও এর মোট গম্বুজ ৭৭  টির সাথে চারটি মিনারের চারটি গম্বুজ সহ এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৮১ টি। ঐতিহাসিকদের মতে  ষাট টি পিলারের উপর মসজিদটি নির্মিত বলে এর নাম হয় ষাট গম্বুজ মসজিদ।

কি কি দেখবেন

খানজাহান আলী তার আমলে এই অঞ্চলে ৩৬০ টি মসজিদ নির্মাণ করেন। বেশিরভাগ  মসজিদ ষাট গম্বুজ মসজিদের আদলে গড়া। ষাট গম্বুজ মসজিদের আশপাশে রয়েছে বেশকিছু মসজিদ।

সিঙ্গাইর মসজিদ

এটি ষাটগম্বুজ মসজিদের পাশে অবস্থিত মধ্যযুগীয় স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম মসজিদ। এর গম্বুজ সংখ্যা ১ টি ।দরজা আছে মোট ৩ টি। এটি ষাট গম্বুজের আকৃতিতে  তৈরি

নয় গম্বুজ মসজিদ

সাবেক ডাঙ্গা মসজিদ

জিন্দাপীর মসজিদ

২০০২ সালে এটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক পুননির্মাণ করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।

প্রদর্শনের সময় সূচি

মসজিদটি সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য খোলা থাকে শুধু নামাজের সময় গুলো ব্যতীত। শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লী আসে। শুক্রবার দুপুর ১১:৩০ থেকে ৩:৩০ পর্যন্ত এটি নামাজের জন্য সাধারন পর্যটকের প্রবেশ নিষেধ থাকে।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা কল্যাণপুর গাবতলী মহাখালী থেকে বাগেরহাট যাওয়ার বাস প্রতিদিনই পাওয়া যায়।

বাস

গোল্ডেন লাইন পরিবহন (কল্যাণপুর মোবাইল-01705408500, বাগেরহাট মোবাইল-01733399827)
হানিফ এন্টারপ্রাইজ কল্যাণপুর মোবাইল-01713049541
নন এসি 500 টাকা এসি 1000 টাকা ভাড়া।
অনলাইনে টিকিট বুকিং এর জন্য সহজ-16374
বাস বিডি-16460

ট্রেন

ঢাকা থেকে বাগেরহাট সরাসরি কোন ট্রেন নেই তবে ঢাকা থেকে খুলনা যেয়ে সেখান থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাস বা সিএনজি যোগে বাগেরহাট শহরে যেতে পারেন।

ঢাকা কমলাপুর থেকে খুলনা

সুন্দরবনে প্রভাতী ছাঁড়ে 6:20 Am পৌঁছায় 4:20 pm
বন্ধ বুধবার
চিত্রা ছাঁড়ে 7:00 pm পৌঁছায় 05:10 Am
বন্ধু সোমবার
সকল ট্রেনের ভাড়া 525 টাকা

খুলনা থেকে ঢাকা কমলাপুর

চিত্রা ছাঁড়ে 8:40 Am পৌঁছায় 06:20 pm
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাঁড়ে  8:30 pm পৌঁছায়  5:40 Am

[ বাগেরহাট জেলা শহর থেকে ষাট গম্বুজ জামে মসজিদ ৭ কিলোমিটার পথ।  বাগেরহাট জেলা শহর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস-সিএনজি বা চার্জার অটো যোগে ষাট গম্বুজ জামে মসজিদ দেখতে যেতে পারেন]

কোথায় থাকবেন

বাগেরহাট শহরে থাকার মতো বিভিন্ন মানের হোটেল ও সার্কিট হাউজ রয়েছে।
হোটেল আল আমিন মোবাইল-01966044718
হোটেল ফুয়াদ আবাসিক মোবাইল-01715857362
হোটেল মমতাজ মোবাইল-01777758744
হোটেল অভি মোবাইল-01833742623

[ হোটেলগুলো ভাড়া  ৪০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে পড়বে]

Article Categories:
বাগেরহাট
banner

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।