টুকিটাকি
একটি দেশের পণ্য আমদানি রপ্তানির জন্য নদী বন্দর ও সমুদ্র বন্দর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ৯০ শতাংশ পণ্য আমদানি রপ্তানি হয় সমুদ্র বন্দর দিয়ে। তেমনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মংলা বন্দর। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের ওপর চাপ কমাতে তৈরি হয় এই সমুদ্র বন্দর। পশুর নদীর সন্নিকটে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে এটি অবস্থিত । বন্দরের সন্নিকটে অবস্থিত দেশের আটটি ইপিজেট এর একটি মংলা ইপিজেড বা মংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল।
একসময় লোকসান গুনতে হলেও ২০০৯ সাল থেকে এই বন্দর দিয়ে গাড়ি, খাদ্যশস্য ও সার আমদানি ও হিমায়িত খাদ্য ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হওয়ার কারণে এটি এখন লাভের মুখ দেখছে। বছরে গড়ে প্রায় ৪ মিলিয়ন মেট্রিকটন পণ্যের আমদানি রপ্তানি হয়। একসাথে প্রায় ৪০ টি জাহাজ পণ্য খালাস ও বোঝাই করতে পারে।
অবস্থান
বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলা শহর থেকে ৫৫ কি.মি. দুরে মংলা উপজেলার পশুর নদীর পাশে অবস্থিত।
ইতিহাস
মংলা বন্দর টি ১৯৫০ সালের পহেলা ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। খুলনা জেলা শহর হতে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত। প্রথমে এই বন্দরটি চালনা বন্দর নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ সরকারি অধিদপ্তর হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
১৯৮৭ সালের মার্চে এর নাম পরিবর্তিত হয়ে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। পশুর নদী থেকে ১৮ কিলোমিটার উজানে এর অবকাঠামো তৈরি হয়। ১৯৫০ সালের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথম ব্রিটিশ বণিক জাহাজ নোঙর ফেলে। পূর্বে এর সকল কার্যক্রম পরিচালিত হতো খুলনা থেকে।
অবকাঠামো
১১ টি জেটি পণ্য খালাসের জন্য ৭ টি শেড ও ৮ টি ওয়্যার হাউজ রয়েছে। নদীতে ভাসমান নোঙর স্থান আছে ১২। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ হিরণ পয়েন্টে নাবিকদের সুবিধার্থে একটি রেস্টহাউজ তৈরি করেছে। মংলা বন্দর রেলওয়ের মাধ্যমে খুলনা শহরের সাথে সংযুক্ত। ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে এই বন্দর। পণ্য ওঠানামার জন্য ২২৫ মিটার পর্যন্ত জাহাজ এই বন্দরে প্রবেশ করতে পারে।
জাহাজ সেবা
2015-16 তে ৬৩৫ টি, 2016-17 তে ৭৩৫ টি, 2017-18 ৮৫০ টি, 2018-19 তে ৯১০ টি জাহাজ নোঙর করে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ আমেরিকা ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে কয়েকশো জাহাজ এখানে এই বন্দর ব্যবহার করে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ নদী বন্দর এই বন্দরের সাথে সংযুক্ত আছে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা কল্যাণপুর গাবতলী মহাখালী থেকে বাগেরহাট যাওয়ার বাস প্রতিদিনই পাওয়া যায়।
বাস
গোল্ডেন লাইন পরিবহন (কল্যাণপুর মোবাইল-01705408500, বাগেরহাট মোবাইল-01733399827)
হানিফ এন্টারপ্রাইজ কল্যাণপুর মোবাইল-01713049541
নন এসি 500 টাকা এসি 1000 টাকা ভাড়া।
অনলাইনে টিকিট বুকিং এর জন্য সহজ-16374
বাস বিডি-16460
ট্রেন
ঢাকা থেকে বাগেরহাট সরাসরি কোন ট্রেন নেই তবে ঢাকা থেকে খুলনা যেয়ে সেখান থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাস বা সিএনজি যোগে বাগেরহাট শহরে যেতে পারেন।
ঢাকা কমলাপুর থেকে খুলনা
সুন্দরবনে প্রভাতী ছাঁড়ে 6:20 Am পৌঁছায় 4:20 pm
বন্ধ বুধবার
চিত্রা ছাঁড়ে 7:00 pm পৌঁছায় 05:10 Am
বন্ধু সোমবার
সকল ট্রেনের ভাড়া 525 টাকা
খুলনা থেকে ঢাকা কমলাপুর
চিত্রা ছাঁড়ে 8:40 Am পৌঁছায় 06:20 pm
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাঁড়ে 8:30 pm পৌঁছায় 5:40 Am
[ বাগেরহাট শহর থেকে মংলা বন্দর সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। বাগেরহাট থেকে মংলা বন্দর ৫৫ কিলোমিটার পথ। বাস বা নিজস্ব পরিবহনে ৭০ থেকে ৮০ মিনিটে মংলা বন্দর পৌঁছাতে পারেন। বাস ভাড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকার মত পড়বে]
কোথায় থাকবেন
মংলা বন্দর এর সাথেই অবস্থিত পশুর হোটেল যা বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রণাধীন। মংলা উপজেলা ডাকবাংলোতে থাকতে পারবেন এছাড়া মংলা উপজেলা সদরে বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে। এক্ষেত্রে মংলাবন্দর দেখে নৌকা যোগে পশুর নদী পার হয়ে মংলা উপজেলায় সদর আসতে হবে।
হোটেল পশুর মোবাইল-01714573852
মংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার-01717451344
বাগেরহাট শহরে থাকার মতো বিভিন্ন মানের হোটেল ও সার্কিট হাউজ রয়েছে।
হোটেল আল আমিন মোবাইল-01966044718
হোটেল ফুয়াদ আবাসিক মোবাইল-01715857362
হোটেল মমতাজ মোবাইল-01777758744
হোটেল অভি মোবাইল-01833742623
[ হোটেলগুলো ভাড়া ৪০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে পড়বে]