টুকিটাকি
বাগেরহাট জেলা শহরের অন্যতম নিদর্শন বাগেরহাট জাদুঘর। মূলত এখানে খানজাহান আলীর স্মৃতিবিজড়িত নানা ব্যবহারিক উপকরণ ও তার স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য এ জাদুঘর তৈরি করা হয়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এই জাদুঘর দেখতে আসে। ছুটির দিনগুলোতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের ভিড়ে বেশ মুখরিত থাকে জাদুঘর।
অবস্থান
এটি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার সুন্দরঘোনায় ষাটগম্বুজ মসজিদ ক্যাম্পাসের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত।
ইতিহাস
পঞ্চদশ শতকে গড়ে ওঠা খলিফাতাবাদ শহরের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং উপস্থাপনের জন্য ১৯৭৩ সালে সরকার আন্তর্জাতিক আবেদন জানাই। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউনেস্কো ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে সংরক্ষণ এবং সংস্কার প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৪ সালে ৫২০ বর্গমিটার এলাকা নিয়ে একটি জাদুঘর নির্মিত হয়।
একতলা ভবনে তিনটি গ্যালারি বিশিষ্ট দক্ষিণমুখী জাদুঘর ভবনে ইসলামী স্থাপত্যকলা কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। জাদুঘরটি ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। জাদুঘরটি ষাট গম্বুজ মসজিদ এর সঙ্গে একই কমপ্লেক্সে অবস্থিত।
কি কি দেখবেন
এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া স্মৃতিচিহ্ন, মুদ্রা, বাসনপত্র, মানচিত্র, আছে লিপিবদ্ধ ইতিহাস। আকর্ষণীয় হিসেবে রয়েছে সারা দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য মসজিদ ও পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনার সুন্দর সুন্দর সব ছবি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে খানজাহান আলীর ঐতিহাসিক কুমিরের মমি। কালাপাহাড় ধলাপাহাড় এর মৃত শরীর মমি করে অথবা শুধু চামড়া দিয়ে এই ডামি বানানো হয়েছে।
টিকেট প্রাপ্তিস্থান
জাদুঘরের গেটের পাশেই রয়েছে টিকিট কাউন্টার জনপ্রতি টিকিটের দাম ১৫ টাকা করে তবে ৫ বছরের কম কোন বাচ্চার জন্য টিকিট এর দরকার পড়ে না। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিশু-কিশোরদের জন্য প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ টাকা। সার্কভুক্ত বিদেশী দর্শনার্থীদের জন্য টিকিট মূল্য ৫০ টাকা এবং অন্যান্য বিদেশি ও দর্শক দের জন্য টিকিট মূল্য ১০০ টাকা করে।
বন্ধ খোলার সময়সূচী
গ্রীষ্মকালে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত জাদুঘর খোলা থাকে। মাঝখানে দুপুর একটা থেকে ১:৩০ পর্যন্ত আধা ঘন্টার জন্য বন্ধ থাকে। আর শীতকালে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালে দুপুর একটা থেকে ১:৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। শুক্রবারে জুমার নামাজের জন্য ১২:৩০ থেকে ৩:৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। রবিবার সাধারণ ছুটি এবং সোমবার বেলা দুইটা থেকে খোলা থাকে। এছাড়াও সরকারি কোন বিশেষ দিবসে জাদুঘর খোলা থাকে।
[ বাগেরহাট জেলা শহর থেকে বাগেরহাট জাদুঘর ৭ কিলোমিটার পথ। বাগেরহাট জেলা শহর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস-সিএনজি বা চার্জার অটো যোগে বাগেরহাট জাদুঘর দেখতে যেতে পারেন এছাড়া ঢাকা থেকে বাগেরহাট যাওয়ার পথে বাগেরহাট জাদুঘরের সামনেও নামা যায়]
কিভাবে যাবেন
ঢাকা কল্যাণপুর গাবতলী মহাখালী থেকে বাগেরহাট যাওয়ার বাস প্রতিদিনই পাওয়া যায়।
বাস
গোল্ডেন লাইন পরিবহন (কল্যাণপুর মোবাইল-01705408500, বাগেরহাট মোবাইল-01733399827)
হানিফ এন্টারপ্রাইজ কল্যাণপুর মোবাইল-01713049541
নন এসি 500 টাকা এসি 1000 টাকা ভাড়া।
অনলাইনে টিকিট বুকিং এর জন্য সহজ-16374
বাস বিডি-16460
ট্রেন
ঢাকা থেকে বাগেরহাট সরাসরি কোন ট্রেন নেই তবে ঢাকা থেকে খুলনা যেয়ে সেখান থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাস বা সিএনজি যোগে বাগেরহাট শহরে যেতে পারেন।
ঢাকা কমলাপুর থেকে খুলনা
সুন্দরবনে প্রভাতী ছাঁড়ে 6:20 Am পৌঁছায় 4:20 pm
বন্ধ বুধবার
চিত্রা ছাঁড়ে 7:00 pm পৌঁছায় 05:10 Am
বন্ধু সোমবার
সকল ট্রেনের ভাড়া 525 টাকা
খুলনা থেকে ঢাকা কমলাপুর
চিত্রা ছাঁড়ে 8:40 Am পৌঁছায় 06:20 pm
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাঁড়ে 8:30 pm পৌঁছায় 5:40 Am
বাগেরহাট জেলা শহর থেকে ষাট গম্বুজ জামে মসজিদ ৭ কিলোমিটার পথ। বাগেরহাট জেলা শহর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস-সিএনজি বা চার্জার অটো যোগে ষাট গম্বুজ জামে মসজিদ দেখতে যেতে পারেন
কোথায় থাকবেন
বাগেরহাট শহরে থাকার মতো বিভিন্ন মানের হোটেল ও সার্কিট হাউজ রয়েছে।
হোটেল আল আমিন মোবাইল-01966044718
হোটেল ফুয়াদ আবাসিক মোবাইল-01715857362
হোটেল মমতাজ মোবাইল-01777758744
হোটেল অভি মোবাইল-01833742623
[ হোটেলগুলো ভাড়া ৪০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে পড়বে]