ভরতের দেউল

 লিখেছেনঃ
  জানু. 4, 2020
  624 Views
0 0

টুকিটাকি

পুরো যশোর জেলা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন যার মধ্যে অন্যতম কেশবপুরের ভরতের দেউল।ব্যস্ত নগরজীবনে একঘেয়েমি দূর করার পাশাপাশি ইতিহাস-ঐতিহ্যের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য যেতে পারেন দক্ষিণের জনপদ যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় অবস্থিত ইতিহাস-ঐতিহ্য পরিপূর্ণ ভরতের দেউলে। ১৫ শত বছরের প্রাচীন নিদর্শন জানান দিচ্ছে সেই সময় ইতিহাসকে। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার এর আদলে গড়ে ওঠা এই নিদর্শন ভারত রাজার দেওল নামে পরিচিত।এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতাধীন।

অবস্থান

এটি বাংলাদেশের যশোর জেলা শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলা কেশবপুরের ভরত ভায়না গ্রামে অবস্থিত।

ভরতের দেউল

প্রায় চার বিঘা জমির উপর অবস্থিত এ বিহারটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৮৫ সালে তাদের খনন কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এর খনন  পুনরায়  করা হয়। কথিত আছে ভরত নামের এক স্থানীয় রাজা এই ঢিবিটির সাথে একটি মন্দির তৈরি করেছিলেন। কালের বিবর্তনে বিভিন্ন সময় স্থানীয় লোকেরা এই মন্দিরের মূল্যবান জিনিস গুলো চুরি করে নিয়ে যায়।
প্রখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এর ৩০ টি নিদর্শন এর অন্যতম এটি। দেশভাগের আগে ভারত প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বিংশ শতকের শুরুর দিকে এটি সংরক্ষণ করে। ইতিহাসবিদরা মনে করে  পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শতকের বৌদ্ধমন্দির এই  ঢিবিটির নিচে অবস্থিত রয়েছে। এডিবির ওপরে উঠতে মোট ৮২ টি ধাপ তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে বেশ কিছু অংশ ভেঙে গেছে। মন্দিরের চতুষ্কোণে চারটি প্রবেশ পথ রয়েছে।
এই মন্দিরের বড় আকর্ষণ মন্দিরের ব্যবহৃত  ইট গুলো। প্রায় ৩৬ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার আয়তনের ইট গুলো খুব একটা দেখা যায় না। পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শতকের নিদর্শনের প্রাপ্ত বেশকিছু ধ্বংসাবশেষ খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর সংরক্ষিত আছে। যার মধ্যে সেই সময়ের পোড়ামাটির মাথা,মাটি দ্বারা নির্মিত মূর্তির বিভিন্ন অংশ, মাটির প্রদীপ, নকশা খচিত ইটের উপর কারুকাজ, বিভিন্ন ব্যবহৃত  প্রস্তর নির্মিত জিনিসপত্র।
কিভাবে যাবেন

ঢাকার কল্যাণপুর, গাবতলী, মহাখালী, আরামবাগ, ফকিরাপুল থেকে যশোর যাওয়ার বাস প্রতিদিনই পাওয়া যায়।

বাস

দেশ ট্রাভেলস (কল্যাণপুর মোবাইল-017626844401, যশোর নিউ মার্কেট মোবাইল-0173335194-3)
হানিফ পরিবহন (কল্যাণপুর মোবাইল-01713049541, যশোর মোবাইল-01713049560)
ঈগল পরিবহন (কল্যাণপুর মোবাইল-01779492989, যশোর বেনাপোল মোবাইল-01793327969)
নন এসি ৪৫০ টাকা এসি ১০০০ টাকা ভাড়া।

অনলাইনে টিকিট বুকিং এর জন্য, সহজ-16374
বাস বিডি-16460

ট্রেন

ঢাকা কমলাপুর থেকে যশোর স্টেশন

বেনাপোল এক্সপ্রেস ছাঁড়ে  12:40 Am পৌঁছায় 07:50 Am
বন্ধ বৃহস্পতিবার

সুন্দরবন প্রভাতী ছাঁড়ে 6:20 Am পৌঁছায়  2:20 pm
বন্ধ বুধবার

চিত্রা ছাঁড়ে 7:00 pm পৌঁছায় 3:40 Am
বন্ধ সোমবার

যশোর স্টেশন থেকে ঢাকা কমলাপুর

চিত্রা ছাঁড়ে 9:51 Am পৌঁছায় 06:20 pm
বেনাপোল এক্সপ্রেস ছাঁড়ে 2:07 pm পৌঁছায় 08:55 pm
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাঁড়ে  9:30 pm পৌঁছায় 5:40 Am

সকল ট্রেনের ভাড়া ৪৭৫ টাকা

[ যশোর শহর থেকে কেশবপুর উপজেলা ৩৬ কিলোমিটার পথ। বাস বা সিএনজি যোগে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে আর ভাড়া পড়বে ৪০-৫০ টাকার মতো। কেশবপুর উপজেলা থেকে ভরতের দেউল ১৯  কিলোমিটার পথ। কেশবপুর উপজেলা হতে বাস, সিএনজি যোগে ভরতের দেউল দেখতে যেতে পারেন]

কোথায় থাকবেন

কেশবপুর উপজেলায় সরকারি ও বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন ধরনের হোটেল ও আবাসন আছে।

সরকারি:-

জেলা পরিষদ প্রদর্শন বাংলো কেশবপুর, যশোর।

মোবাইল- ০১৭৩৮-৩৯৮৭৮৭

সাগরদাড়ী, জেলা পরিষদ প্রদর্শন বাংলো কেশবপুর, যশোর।

মোবাইল- ০১৭২৫-১৫৩৩৬১

পর্যটন করপোরেশন, সাগরদাড়ী, কেশবপুর, যশোর।

মোবাইল- ০১৭১২-৫৭৬৬১৯

যশোর শহরে থাকার মতো বিভিন্ন মানের হোটেল ও সার্কিট হাউজ রয়েছে।

জাবির হোটেল ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল-01885000555
হোটেল সিটি প্লাজা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল-01795477977
হোটেল আর এস ইন্টারন্যাশনাল  ফোন-0421-62617
হোটেল হাসান ইন্টারন্যাশনাল ফোন-0421-67478

[ হোটেল গুলোর ভাড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে পড়বে]

Article Categories:
যশোর
banner

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।