মীর্জানগর হাম্মামখানা

 লিখেছেনঃ
  জানু. 5, 2020
  1086 Views
0 0

টুকিটাকি

পুরো যশোর জেলা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন যার মধ্যে অন্যতম কেশবপুরের ভরতের দেউল।ব্যস্ত নগরজীবনে একঘেয়েমি দূর করার পাশাপাশি ইতিহাস-ঐতিহ্যের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য যেতে পারেন দক্ষিণের জনপদ যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় অবস্থিত ইতিহাস-ঐতিহ্য পরিপূর্ণ ভরতের দেউলে মীর্জানগর হাম্মামখানা।

মীর্জানগর হাম্মামখানা

যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার পশ্চিমে ত্রিমোহনী নামক জায়গায় অবস্থিত এই মির্জানগর হাম্মামখানা। লোক মুখে নানা প্রচলিত কাহিনী আছে এই হাম্মামখানা টি কে ঘিরে। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ১৯৯৬ সালে এটিকে পুননির্মাণ করে ও একটি ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৬৪৯ সালের মির্জা হাফসি নামক ব্যক্তি এ অঞ্চলের ফৌজদার নিযুক্ত হন। সম্পর্কে তিনি বাংলার সুবেদার শাহ সুজার আত্মীয়।

মির্জা হাফসি ত্রিমোহনী এলাকায় বসবাস করতেন বলে এই এলাকার নাম হয় মির্জানগর ।  মির্জানগরে গড়ে ওঠা সেই সময়ের নবাব বাড়িগুলোর ধ্বংসাবশেষ এখন অবশিষ্ট আছে। হাম্মামখানার পূর্ব পশ্চিম দিকে এগুলো লক্ষ্য করা যায়। এর চারিধারে পুকুর খনন করা হয় সেই সময়। প্রায় ১০-১২ ফুট উঁচু প্রাচীর বেষ্টিত  হাম্মামখানা টি সেই সময়  কামান দ্বারা সংরক্ষিত ছিল। এই হাম্মামখানা ৪ গম্বুজবিশিষ্ট। পাশেই একটু দূরে পুকুর লক্ষ করা যায় বর্তমানে  যত্নের অভাবে প্রায় মলিন।

হাম্মামখানায় গোসল করার জন্য বড় বড় দুটি চৌবাচ্চার ব্যবস্থা ছিল। হাম্মামখানা টি ইটের সুরকি ও চুন মিশ্রিত এক ধরনের রং দিয়ে ভিতরে বাহিরে রং  করা। এর ভিতর আলো বাতাস এর জন্য বেশ কিছু ছোট ছোট খাঁজ কাটা খোলা অংশ আছে। ভেতরের দেওয়ালে প্রদীপ রাখার জন্য দেয়াল কেটে ছোট ছোট তাক করা আছে।

বর্তমানের ন্যায় প্রযুক্তিগত আধুনিক না হলেও সে সময় কূপ হতে পানি নিয়ে হাম্মামখানার উপরের চৌবাচ্চায় জমা করা হতো আর সেখান থেকে নলের মাধ্যমে  ভিতরে পানি সরবরাহ করা হতো। হাম্মামখানা এর সাথে লাগানো একটি সুরঙ্গ পথ আছে যেটি দিয়ে পাশেই অবস্থিত তোষাখানায় যাওয়া যেত।

 

অবস্থান

এটি বাংলাদেশের যশোর জেলা শহর থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে কেশবপুর উপজেলার মির্জানগর নামক গ্রামে অবস্থিত।

কিভাবে যাবেন

ঢাকার কল্যাণপুর, গাবতলী, মহাখালী, আরামবাগ, ফকিরাপুল থেকে যশোর যাওয়ার বাস প্রতিদিনই পাওয়া যায়।

বাস

দেশ ট্রাভেলস (কল্যাণপুর মোবাইল-017626844401, যশোর নিউ মার্কেট মোবাইল-0173335194-3)
হানিফ পরিবহন (কল্যাণপুর মোবাইল-01713049541, যশোর মোবাইল-01713049560)
ঈগল পরিবহন (কল্যাণপুর মোবাইল-01779492989, যশোর বেনাপোল মোবাইল-01793327969)
নন এসি ৪৫০ টাকা এসি ১০০০ টাকা ভাড়া।

অনলাইনে টিকিট বুকিং এর জন্য, সহজ-16374
বাস বিডি-16460

ট্রেন

ঢাকা কমলাপুর থেকে যশোর স্টেশন

বেনাপোল এক্সপ্রেস ছাঁড়ে  12:40 Am পৌঁছায় 07:50 Am
বন্ধ বৃহস্পতিবার

সুন্দরবন প্রভাতী ছাঁড়ে 6:20 Am পৌঁছায়  2:20 pm
বন্ধ বুধবার

চিত্রা ছাঁড়ে 7:00 pm পৌঁছায় 3:40 Am
বন্ধ সোমবার

যশোর স্টেশন থেকে ঢাকা কমলাপুর

চিত্রা ছাঁড়ে 9:51 Am পৌঁছায় 06:20 pm
বেনাপোল এক্সপ্রেস ছাঁড়ে 2:07 pm পৌঁছায় 08:55 pm
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাঁড়ে  9:30 pm পৌঁছায় 5:40 Am

সকল ট্রেনের ভাড়া ৪৭৫ টাকা

[ যশোর শহর থেকে কেশবপুর উপজেলা ৩৬ কিলোমিটার পথ। বাস বা সিএনজি যোগে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে আর ভাড়া পড়বে ৪০-৫০ টাকার মতো। কেশবপুর উপজেলা থেকে মীর্জানগর হাম্মামখানা ভরতের দেউল ৭ কিলোমিটার পথ। কেশবপুর উপজেলা হতে বাস, সিএনজি,অটো চার্জার, ভ্যান যোগে  মীর্জানগর হাম্মামখানা দেখতে যেতে পারেন]

কোথায় থাকবেন

কেশবপুর উপজেলায় সরকারি ও বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন ধরনের হোটেল ও আবাসন আছে।

সরকারি:-

জেলা পরিষদ প্রদর্শন বাংলো কেশবপুর, যশোর।

মোবাইল- ০১৭৩৮-৩৯৮৭৮৭

সাগরদাড়ী, জেলা পরিষদ প্রদর্শন বাংলো কেশবপুর, যশোর।

মোবাইল- ০১৭২৫-১৫৩৩৬১

পর্যটন করপোরেশন, সাগরদাড়ী, কেশবপুর, যশোর।

মোবাইল- ০১৭১২-৫৭৬৬১৯

যশোর শহরে থাকার মতো বিভিন্ন মানের হোটেল ও সার্কিট হাউজ রয়েছে।

জাবির হোটেল ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল-01885000555
হোটেল সিটি প্লাজা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল-01795477977
হোটেল আর এস ইন্টারন্যাশনাল  ফোন-0421-62617
হোটেল হাসান ইন্টারন্যাশনাল ফোন-0421-67478

[ হোটেল গুলোর ভাড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে পড়বে]

Article Categories:
যশোর
banner

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।