নাটোরের কাঁচাগোল্লা

 লিখেছেনঃ
  নভে. 18, 2019
  497 Views
1 0

টুকিটাকি

নাটোর মানেই প্রথমে আসে বনলতাসেন ও সুস্বাদু কাঁচাগোল্লা। যারা কাঁচাগোল্লার সাদ চেখে দেখেননি তাদের কাছে কাঁচাগোল্লা  রহস্যই ঠেকবে। দুধ জ্বাল করে সেখান থেকে ছানা তৈরি করে চিনির রস মিশিয়ে নেড়েচেড়ে তৈরি করা হয় কাঁচা গোল্লা কিন্তু মিষ্টি তৈরি হওয়ার পর সেটা কাঁচা কিভাবে থাকে সেটাই নিয়ে নানা মতের নানা প্রশ্ন। উত্তর না মিললেও তার নাম ঠিকই কাঁচাগোল্লা। প্রাচীনকাল থেকেই মিষ্টি রসিক বাঙ্গালীদের রস তৃপ্ত করে আসছে এই কাঁচাগোল্লা। জায়গা ভেদে এটি প্রতি কেজি ৪০০-৫০০ টাকার মতো।

ইতিহাস

আঠারো শতকের প্রথম দিকে নাটোর শহরের প্রাণকেন্দ্র লালবাজারের মধুসূদন পালের মিষ্টির দোকানের সুনাম ছিল চারিদিকে। বলা চলে নাটোর শহরের সবচেয়ে বড় মিষ্টির দোকান ছিল তার। প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে আড়াই মন ছানা দিয়ে তিনি চমচম,রসগোল্লা,কালোজাম ইত্যাদি মিষ্টান্ন তৈরি করতেন। প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন কর্মচারী প্রতিদিন কাজ করতেন।

একদিন মিষ্টির দোকানে কোন কারনে  কারিগর ও কিছু কর্মচারী না আশায় মধুসূদন নিজেই ছানা গুলো দিয়ে এক প্রকার মিষ্টান্ন তৈরি করেন। ছানাগুলো যেন নষ্ট না হয় সেজন্য তিনি ছানার মধ্যে চিনির রস ঢেলে দিয়ে জাল দিলেন এবং তারপর রেখে দিলেন।

এরপর ওই চিনি মেশানোর ছানা মুখে দিয়ে  একটি অন্যরকম স্বাদ পান তিনি। এলাকাবাসীর মাঝে বিতরণ করেন এবং সবাই খেয়ে প্রশংসা করেন। ভয়ে ভয়ে এই মিষ্টি রাজদরবারে পাঠালেন। রাজা এই মিষ্টি খেয়ে মুগ্ধ হন এবং এরপর থেকে এই মিষ্টি রাজদরবারে সরবরাহ করতে বলেন।

কাঁচা ছানাতে চিনির রস ঢেলে নতুন এই প্রক্রিয়াকৃত মিষ্টির নাম রাখা হয় কাঁচাগোল্লা। ধীরে ধীরে মিষ্টি রসিকরা এই মিষ্টির প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং দেশ-বিদেশে এর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ১৭৬০ থেকে ১৭৬৫ সালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের রানী ভবানীর রাজত্বকালে  কাঁচাগোল্লা অধিক বিস্তৃতি লাভ করে।

উপকরণ

এটি তৈরী উপকরণসমূহ: ছানা, মাওয়া, এলাচ গুঁড়া,চিনি।

অবস্থান

বর্তমানে  দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন কাঁচাগোল্লা তৈরি করা হচ্ছে তবে কাঁচাগোল্লার আসল স্বাদ পেতে হলে অবশ্যই   আপনাকে নাটোরে আসতে হবে।এটি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করে থাকে তবে কালিবাড়ি মিষ্টান্ন ভান্ডার এর জন্য প্রসিদ্ধ। নাটোর শহরের যে কোন জায়গা থেকে রিকশা বা অটো যোগে কালিবাড়ি মিষ্টান্ন ভান্ডার যেতে পারেন।

কিভাবে যাবেন
বাস

ঢাকার কল্যাণপুর গাবতলী মহাখালী কলাবাগান থেকে নাটক যাওয়ার বাস প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর পাওয়া যায়। ভাড়া ৩৮০-৪০০ টাকার মধ্যে।
ন্যাশনাল ট্রাভেলস( কল্যাণপুর মোবাইল-01713228286, নাটোর মোবাইল- 01713228284)
দেশ ট্রাভেলস( কল্যাণপুর মোবাইল-017626844401, নাটোর মোবাইল- 01762684402)
এছাড়া তুহিন, শ্যামলী,একতা ও গ্রামীন ট্রাভেলস  এই লাইনে যাতায়াত করে।

ট্রেন

ঢাকা কমলাপুর থেকে নাটোর

নীলসাগর ছাড়ে 8:00 Am নাটোর
পৌঁছাই 1:05 pm ভাড়া ৩৪০ টাকা।
সোমবার বন্ধ

রংপুর এক্সপ্রেস ছাড়ে 9:00 Am পৌঁছায় 1:58 pm ভাড়া ৩৪০ টাকা
সোমবার বন্ধ

একতা এক্সপ্রেস ছাড়ে  10:00 Am পৌঁছায়  3:02 Pm ভাড়া ৩৪০ টাকা

দ্রুতযান এক্সপ্রেস ছাড়ে  8:00 Pm পৌঁছায় রাত 12:45 Pm ভাড়া ৩৪০ টাকা

লালমনি এক্সপ্রেস  ছাড়ে 10:10 pm পৌঁছায় 3:40 Am ভাড়া ৩৪০ টাকা
শুক্রবার বন্ধ

নাটোর থেকে ঢাকা কমলাপুর

রংপুর এক্সপ্রেস নাটোর থেকে ছাড়ে 12:47 pm পৌছাই 6:20 Am

নীলসাগর এক্সপ্রেস নাটোর থেকে ছাড়ে  2:02 Pm পৌঁছায় 7:10 Am

একতা এক্সপ্রেস  ছাড়ে 2:30 pm পৌঁছায় 8:10 am

দ্রুতযান এক্সপ্রেস ছাড়ে  1:00 pm
পৌঁছায় 6:10

লালমনি এক্সপ্রেস ছাড়ে 2:30 pm পৌঁছায় 08:55 pm

কোথায় থাকবেন

থাকার মতো বিভিন্ন মানের হোটেলরয়েছে।
নাটোর সদর ডাকবাংলো ফোন- 0771-66932
হোটেল ভিআইপিমোবাইল-01718673735
হোটেল প্রিন্স মোবাইল-01746029429
হোটেল রাজ মোবাইল-01727371500

[ হোটেল গুলোর ভাড়া ৩০০-৩০০০ টাকার মধ্যে পড়বে]

Article Categories:
রাজশাহী
banner

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।